জোড়া খুনে চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে : তদন্তে পুলিশ

23rd December 2020 9:26 pm বর্ধমান
জোড়া খুনে চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে : তদন্তে পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) : সাতসকালেই জোড়া খুন! এক শিশু সহ এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চান্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার  ময়নাগুড়ি-মাতিশ্বর এলাকায়।মৃত শিশুর নাম জয় কিস্কু(দেড় বছর)। মৃত যুবকের নাম গোবিন্দ মান্ডি(২৩)।তাদের বাড়ি ওই এলাকাতেই।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো তার তদন্তে নেমেছেন কালনা থানার পুলিশ।মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
                      স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে, মৃত শিশুপুত্র ও ওই যুবকের দুজনেরই বাড়ি কালনা থানার ময়নাগুড়ি-মাতিশ্বর এলাকায়। গোবিন্দ তাদের খামারবাড়ির যে জায়গায় টিউশণি পড়াতো সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।এই বিষয়ে শিশুপুত্রের জ্যেঠু অজয় কিস্কু বলেন,‘গোবিন্দ প্রাইভেট টিউশনি করে।লজেন্স ও বিস্কুট কিনে দেবে এই কথা জানিয়ে বুধবার সকালে গোবিন্দ শিশুপুত্র জয়কে  নিয়ে যায়।পরে আমার মা তার খোঁজে যায়।এরপরেই ওখান থেকে ভাইপো অজ্ঞান হয়ে গেছে দেখে তাকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে চলে আসে।এরপরেই ভাইপোকে গলা কাটা অবস্থায় দেখা যায়।তার মুখে ক্ষতচিহ্নও দেখা যায়।’ এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষজন স্তম্ভিত হয়ে যান।পরিবার সদস্যদের পাশাপাশি প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমান।স্থানীয় এক ব্যক্তি অনুজ সোরেন বলেন, ‘গোবিন্দকে ওই ঘটনাস্থলে একটি ঘরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।ওইখানে ওই যুবক কাতরাচ্ছিলো।তারপর গলা কাটা অবস্থায় তাকে দেখা গেলে   বুলবুলিতলা পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটনার কথা জানানো হয়।কালনা থানা ও বুলবুলিতলা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা দু’জনকেই  উদ্ধার করে।এরপরেই কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গোবিন্দ ও জয়কে পাঠানো হলে    কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।অনুজ আরো বলেন,‘এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা নিয়ে মৃতদের পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী সবাই অন্ধকারে রয়েছেন।’ এইদিনই কালনা মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান হাসপাতালে মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।কালনা থানার পুলিশ রহস্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামলেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন পুলিশ কর্তারাও।মৃত যুবকের মা মিনতি মাণ্ডি বলেন,‘কিভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।’তবে তিনি আশঙ্কা করেছেন অন্য কেউ তার ছেলে ও শিশুপুত্র জয়কে খুন করে পালিয়েছে । শিশুপুত্রের মা অঞ্জলি কিস্কুও ওই একই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন।তবে কারা খুন করতে পারে বা কি কারণে খুন করবে সে বিষয়ে দুই পরিবারে কেউই কিছু জানাতে পারেন নি।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্রুব দাস জানিয়েছেন,‘দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ওই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।